অল্টার কত প্রকার এবং কি কি বিস্তারিত
আসসালামু আলাইকুম,
আজ আমরা অল্টার কি এ ছাড়া অল্টার এর নাম , কত প্রকার ও কি কি এই বিষয়গুলো আলোচনা করবো । যদি আপনি গার্মেন্টসে চাকরি করেন বা চাকরি করতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই অল্টার কত প্রকার ও কি কি এই ব্যাপারে ধারণা রাখতে হবে। আর যদি অল্টার এর নাম গুলো এবং কত প্রকার ও কি কি এই বিষয়ে ভালো ধারণা নিতে চান তাহলে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন । গার্মেন্টসে কোন কাজের মধ্যে যদি কোন ভুল হয় এবং সেই পোশাকটি ত্রুটিপূর্ণ হয়ে তখন তাকে ডিফেক্ট বা অল্টার বলা হয় । সহজ ভাষায় বলতে গেলে গার্মেন্টসের পোডাক গুলোর মধ্যে যদি কোন ত্রুটি হয় বা তাদের গুণগত মান ক্ষুন্ন হয় তখন তাকে ডিফেক্ট বা অল্টার বলে। অলটার এর আরেক নাম হচ্ছে ডিফেক্ট । আশা করি অল্টার কাকে বলে এটা সবাই বুঝে গেছেন।
অল্টার কত প্রকার ?
অলটার প্রধানত ৩ প্রকার । তো এই তিন প্রকার এর মধ্যে আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো চিহ্নিত করে অল্টার এর প্রকার আলাদা করতে পারি।
মেজর অল্টার
মাইনর অল্টার
ক্রিটিক্যাল অল্টার
মেজর অল্টার কি কি
যে সকল অল্টার বা ডিফেক্ট থাকলে ক্রেতাগণ সেই পণ্যটি কিনতে চায় না অথবা সেই পণ্যের ওপর সন্তুষ্ট থাকে না অথবা পণ্য কিনে নিয়ে যাওয়ার পর সেই পণ্য আবার ফেরত দিয়ে যায় সেই সকল ত্রুটিকে মেজর অল্টার বলে। এই অল্টার ক্রেতাগণ খুব সহজেই খুঁজে বের করতে পারে যেটা তাদের অসন্তুষ্টির কারণ হয়।
মেজর অল্টার এর বৈশিষ্ট্য
পোশাকের মধ্যে কোন গর্ত বা ছেড়া থাকা
ত্রুটি পূর্ণ সেলাই থাকা
পোশাকের মধ্যে কোন ডিজাইনে ঘাটতি বা ভুল রং থাকা
পোশাকের বোতামটি ভালোমতো যুক্ত না থাকা
পোশাক এর সাইজ বড় ছোট কিংবা হওয়া
অনিয়মিত SPI থাকলে ( Stitches Per Inch )
পণ্যের গায়ে কোন স্টিজ বা ক্রাক থাকা
নোট- মেজর অলটার হলে ক্রেতা পণ্য ক্রয় করতে চায় না। এক কথায় যে কারণে ক্রেতাগণ কোন পণ্য কিনতে না চায় সেটাই মেজর অল্টার। আশা করি সবাই মেজর অল্টার সম্পর্কে ভালো মত আইডিয়া পেয়েছেন।
মাইনর অল্টার
একটা গার্মেন্টসে যে ত্রুটি থাকলে ক্রেতার পণ্যের ক্রয়ের আগ্রহের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না তাকে মাইনর অল্টার বলে । অর্থাৎ গার্মেন্টসের মধ্যে কোন ছোটখাটো ভুল ত্রুটি থাকলে এবং সে ভুলত্রুটি যদি পণ্যের সৌন্দর্য বা পণ্যের গুণগত মান নষ্ট না হয় তাহলে তাকে মাইনর অল্টার বলে ।
তবে গার্মেন্টসে উপর যদি বারবার এই একই ত্রুটি দেখাযায় তাহলে সেখানে গুণগত মান নষ্ট হওয়ার সম্ভনা থাকে, তাই অবশ্যই সেই বিষয়টাও খেয়াল রাখা উচিত।
মাইনর অল্টার এর বৈশিষ্ট্য
থ্রেড (সুতা) ছাটাই না করলে ।
গার্মেন্টসে মধ্যে কোথাও সেলাই না করা বা সেলাইয়ের পরিমাণ বেশি থাকা।
গার্মেন্টসে টুকরো গুলোর মধ্যে কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকলে।
গার্মেন্টসে যত্ন লেবেলিং এর মধ্যে ভুল থাকলে।
কোন শিপিং কাগজে মাঝের লেবেলের ছাপ ভুল থাকলে।
গার্মেন্টসে কোথাও কোন দাগ থাকলে যা খুব সহজেই তুলে ফেলা যায় ।
এছাড়াও গার্মেন্টসে মধ্যে সেলাইয়ের ভিতর কোন সুতা না কাটা
অথবা কোন সুতা লুজ থাকলে।
নোট- এই অল্টার গুলো পণ্যের গুণগত মান নষ্ট করে না বা বিক্রয়ের সময় কোন ঝামেলা করে না তবুও আমাদের এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ক্রিটিক্যাল অল্টার
যে সব অল্টার গ্রাহকের কোন ক্ষতির কারণ হয় অথবা এভাবে বলা যায় যে ভুলগুলো ক্রেতাগণের চোখে পড়লে সেই কোম্পানির সুনাম নষ্ট হতে পারে সেগুলোকে ক্রিটিক্যাল অল্টার বলে । ক্রিটিক্যাল ডিফেক্ট সবথেকে বেশি বিপদজনক। কারণ ক্রিটিক্যাল ডিফেক্ট একটি ভালো পণ্যকে সম্পূর্ণ অকেজো করে দিতে সক্ষম।
ক্রিটিক্যাল ডিফেক্ট এর কিছু কারণ বা বৈশিষ্ট্য ।
পোশাকের উপর ইস্পট বা দাগ পড়া।
কোন পোশাকের বোতাম ভাঙ্গা বা খোলা থাকা।
সেফটি রিকোয়ারমেন্ট গুলো ভালো ভাবে পূরণ করা না থাকলে।
কোম্পানির লেভেলিং না থাকা বা ভুল করা ।
কোন পোশাক ড্যাম বা ভেজা থাকা।
পোশাকে মধ্যে ছত্রাক থাকা।
ফেব্রিক্স নষ্ট বা কাপড় থেকে গন্ধ আসলে।
নোট- পোশাকের মান ভালো রাখতে উপরের বিষয়গুলো কখনোই ভুল করা যাবে না। একারনে ক্রিটিক্যাল অল্টারকে সবথেকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন