কিছু গুরুত্তপুরন মেসেস
কিছু গুরুত্তপুরন মেসেস
একটা কথা সবার জন্য বলিঃ-
change we need
০১. সব দোষ কি শুধুই কোম্পানির?
০২. নাকি শিক্ষা ব্যবস্থার?
০৩.নাকি আমাদের শিখার ইচ্ছার অভাব?
উত্তরঃ-প্রথমত আমি বলব আমাদের নিজেদের শিখার ইচ্ছার অভাব।
মুল্যবান কিছু কথা বলবো যা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জিবনে কাজে লাগবে _________
১. সিভি নিজে না করে অন্য কারো মাধ্যমে তৈরি করানো। যার ফলে ইন্টারভিউ বোর্ড সিভি থেকে কিছু প্রশ্ন করলেই ধরা। সিভি বেশি হলে ২ পেইজ এর বেশি করবেন নাহ। যা লিখবেন মনে রাখবেন সেখান থেকেই আপনাকে বেশি প্রশ্ন করা হবে।
২. নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে বললে এক-দুই লাইন বলার পর ভাবতে শুরু করে দেন তারপরে কি বলবেন। সুতরাং আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলবেন।
৩. প্রশ্ন কি নিয়ে করবে, যেহুতু আপনার অভিজ্ঞতা নেই সুতরাং আপনাকে বই থেকেই প্রশ্ন করবে। কিন্তু প্রশ্ন করলেই বলবেন অনেক বছর আগে পড়েছি মনে নেই। নিজের বই নিয়ে ভাল করে আবার পড়ুন এবং চিন্তা করুন কি ধরণের প্রশ্ন আসতে পারে।
৪. পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শর্ট কোর্স করুন। সবাই তো একই পড়া পড়ছেন, অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে কিছু শর্ট কোর্স করে ফেলুন। পাশাপাশি নিয়মিত সেমিনারে অংশগ্রহণ করুন।
৫. কম্পিউটারে খুব ভাল হতে হবে, MS Office, Google Doc, Internet Browsing এগুলাতে মাত্রাতিরিক্ত ধারণা থাকতে হবে। এগুলা ছাড়া এখন কোনভাবে জব পেলেও টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে যাবে ভবিষ্যতে।
৬. অভিজ্ঞতা না থাকলে, টাকার দিকে না তাকিয়ে আপাতত ঢুকে যান। আর অভিজ্ঞতা থাকলে বুঝে শুনে আগান।
৭. আপনাকে কেন নিবে, কখনো ভেবেছেন? মার্কেটে হাজার হাজার মানুষ চাকরি খুঁজছে। ভাবেন, আপনার বেস্ট স্কিল কি? সেইখানে আরো জোর দিন।
৮. জব পাওয়ার পর, ৭ দিন পরেই হয়তো বলবেন আপনার কাজটা ভালো লাগছেনা অথবা অন্য কোন সমস্যা।
বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, এসব কারনেই কোম্পানিগুলো ভয় পায় Fresher নিতে। মনে রাখতে হবে জব করলে কষ্ট করতেই হবে, সেটা যেখানেই হক।
৯. অন্য কে কি করছে বা কি পাচ্ছে সেটা না দেখে যেটা পাচ্ছেন, সেটাতেই খুশি থাকুন, দেখবেন অনেক হালকা লাগছে।
১০. সব সময় এক কপি সিভি নিজের সাথে রাখবেন। ইমেইল এ সিভি পাঠালে অবশ্যই PDF করে দিবেন এবং ইমেইল এর বডিতে বিস্তারিত লিখবেন। অবশ্যই সাবজেক্ট লিখতে ভুলবেন নাহ।
১১. ইন্টারভিউতে অবশ্যই মোবাইল বন্ধ করে ঢুকবেন। মার্জিত পোশাক পরবেন। মনে রাখবেন সব প্রশ্নের উত্তর আপনি জানবেন না বা জানার কথাও না, বিনিতভাবে দুখিঃত বলবেন, না জানা থাকলে।
১২. সিভিতে চেষ্টা করবেন একটি মোবাইল নাম্বার লিখতে এবং সবসময় খোলা রাখবেন। নিজের নাম দিয়ে ইমেইল অবশ্যই খুলবেন এবং আ্যপ্লাই করার পর প্রতিদিন একবার হলেও চেক করবেন। যেখানে অ্যাপ্লাই করছেন সেগুলার একটা লিস্টও রেখে দিবেন যাতে পরে মিলিয়ে দেখতে পারেন।
১৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলবেন। এখন সিভির পাশাপাশি আপনার সামাজিক যোগাযোগের প্রোফাইলও দেখা হতে পারে।
১৪. নেটওয়ার্ক, প্রতিনিয়ত চেষ্টা করুন নেটওয়ার্ক বড় করার। প্রয়োজন না থাকলেও বড় ভাইদের সাথে সখ্যতা গোড়ে তুলুন। যা পরবর্তীতে কোন না কোন ভাবে কাজে লাগবেই।
১৫. ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে, অবশ্যই কোম্পানি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যাবেন এবং অন্যান্য (related) কোম্পানি সম্পর্কেও ভালো ভাবে জেনে নিবেন। গুগল এ ক্ষেত্রে আপনাকে ১০০% সহয়তা করবে।
১৬. ইন্টারভিউ থেকে ডাকলে অবশ্যই যাবেন। যত ইন্টারভিউ দিবেন তত অভিজ্ঞতা বাড়বে মনে রাখবেন।
১৭. ইংলিশ ছাড়া গতি নেই। যত তারাতারি সম্ভব শিখে ফেলুন।
১৮. জব নাই জব নাই করছেন, কিন্তু এ পর্যন্ত কতোগুলো কোম্পানিতে আ্যপ্লাই করেছেন। আ্যপ্লাই করতে থাকুন এবং যেখানে করছেন চেস্টা করুন খুঁজে বের করতে, ওই কোম্পানিতে কেউ কাজ করছে কিনা, থাকলে তার নিকটও সিভি পাঠিয়ে দিন। শুধু পাঠালেই চলবেনা তার সাথে যোগাযোগও রাখতে হবে।
১৯. শুধু জব পোর্টালে আ্যপ্লাই করলেই চলবে না। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলাতেও খেয়াল রাখতে হবে। বিভিন্ন গ্রুপে থাকতে হবে এবং কথা বার্তা বলতে হবে যাতেে অন্যরাও আপনার সম্পর্কে জানতে উৎসাহি হয়।
২০. কোম্পানি যদি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক পেয়ে যায় তাহলে আপনাকে না নেয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
মনে রাখতে হবে যুগে যুগে কিছু পরিবর্তন আসে, অভিজ্ঞ বা বয়স্ক লোকেরা সেটা কিন্তু পারবেনা আপনার চেয়ে ভালো। একটু ভেঙে বলি, এখন Digital যুগ সুতরাং আপনাকে ডিজিটালাইজেশন এ এক্সপার্ট হতে হবে যাতে কোম্পানি শুধু মাত্র ওই স্কিল এর জন্যই আপনাকে নিতে বাধ্য হয়। বাকিটা আপনাকে বুঝে নিতে হবে।
সবশেষে বলি, সব মানুষ যেমন ভালো না তেমনি সব কোম্পানিও ভালো না। এর মাঝেও অনেক কোম্পানির কর্মকর্তারা আছেন যারা ইন্টারভিউতে যোগ্য লোক পেলে তাকে ছাড়তেও আবার চান না। কিছু সময় দরকার হলে নতুন পদও তৈরি করা হয় তার জন্য।
জব মার্কেটে এখনও প্রচুর জব রয়েছে কিন্তু দক্ষ লোকের অভাবে অন্য দেশ থেকে লোক আনতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আমরা এমন এক আজব জাতি হিসেবে তৈরি হচ্ছি, না জানি ভালো ভাবে শুদ্ধ বাংলা বলতে আবার না জানি ইংলিশ। আমার কথার সাথে সবার একমত না হওয়াটাই স্বাভাবিক।
___________হিমেল শিকদার ইমরান
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন